কাদিয়ানী পণ্যের তালিকা। কাদিয়ানীদের পণ্য কোনগুলো। জানতে হলে ডটকম

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক আপনাদের সকলকে "জানতে হলে ডটকম" এর পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা। সম্প্রীতি কাদিয়ানী ফিতনার কার্যক্রম পুরো বাংলাদেশ ব্যাপ্ত হয়ে গিয়েছে, যা বিগত বছর চারেক আগেও ভাবা যায়নি। বিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে কলঙ্কিত ব্যক্তি মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানীর হাত ধরে এই ভ্রান্ত ফিতনাটির পথ চলা।

 ইতিমধ্যে সমাজে এই ফিতনাটি নিয়ে জ্ঞানী ব্যক্তিবর্গ উদ্বিগ্ন কারণ এটি মুসলিম উম্মাহকে বিভক্ত করার একটি অন্যতম মাধ্যম তো আজকের এই আর্টিকেলে আমরা কাদিয়ানীদের পণ্যগুলোর একটি সুবিস্তর তালিকা আপনাদের সামনে পেশ করব যাতে করে আমরা তাদের পণ্যগুলোকে বয়কট করে একটি ভ্রান্ত ফেতনার নিরসনে সচেষ্ট অংশগ্রহণ করতে পারি। 

কাদিয়ানী পণ্যের তালিকা

কাদিয়ানী কারা

প্রথমে আমরা সংক্ষেপে জেনে নিব কারা এই কাদিয়ানী সম্প্রদায় :

কাদিয়ানী সম্প্রদায় বলতে বুঝায় "কাদিয়ান" পাঞ্জাব প্রদেশের একটি গ্রামের নাম। কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের নেতা মির্জা গোলাম আহমদ তথায় জন্মগ্রহণ করে বলে এ সম্প্রদায়টি কাদিয়ানী রূপে প্রসিদ্ধ লাভ করে। তার ভ্রান্ত মতাদর্শে অন্ধ বিশ্বাসীরূপে যারা তার অনুসারী হয় এবং তাকে নবী বলে স্বীকৃতি দেয়, তারাই কাদিয়ানী সম্প্রদায় হিসাবে সমাজে চিহ্নিত হয়। আবার কখনো কখনো তাদেরকে গোল্‌মাদি, আহমদীয়া বা নিউ ইসায়ী গ্রুপও বলা হয়। 

তো কাদিয়ানী সম্প্রদায় কাফের হওয়ায় তাদের পণ্য বা তাদের কোন সেবা গ্রহণ করে মোটকথা কোনভাবে তাদেরকে সাহায্য করা মুসলমানদের জন্য দোষণীয় তো আমরা প্রথমে তাদের পণ্যগুলোর তালিকা পেশ করব পরবর্তীতে তারা কেন কাফের এবং তাদের কাফের হওয়ার উপর দলিল দিয়ে আলোকপাত করবো। 

কাদিয়ানী পণ্যের তালিকা

কাদিয়ানী পণ্যগুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে প্রাণ-আরএফএল এই দুই ব্র্যান্ডের সমস্ত পণ্য অর্থাৎ প্রাণ ও আরএফএল এর যে সমস্ত সাব ব্র্যান্ড রয়েছে সে সমস্ত ব্র্যান্ডের অধীনে যত ধরনের যত পণ্য আছে সবগুলো পণ্যই কাদিয়ানীদের পণ্য হিসাবে গণ্য হবে। 

আর প্রাণ ও আরএফএল কাদিয়ানীদের পৃষ্ঠপোষক ও সহযোগী হবার উপর প্রমাণ হিসেবে আমরা যদি লক্ষ্য করি তাহলে দেখতে পাই ২০২০এর ডিসেম্বরের পাঁচ তারিখে তাদের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠানে সম্প্রদায়টির পৃষ্ঠপোষক হিসেবে অংশগ্রহণ করেছিলেন এ দুটি ব্র্যান্ডের সিইও আহসান খান চৌধুরী। এর মাধ্যমে প্রাণ-আরএফএল কোম্পানি কাদিয়ানীদের সহযোগী পৃষ্ঠপোষক অর্থাৎ অর্থ বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গণ্য হয়।

কাদিয়ানীদের পণ্য; আরএফএল এর পণ্যগুলো

  • আরএফএল প্লাস্টিকের বালতি
  • আরএফএল প্লাস্টিক চেয়ার
  •  আরএফএল ডাইনিং টেবিল
  •  আরএফএল প্লাস্টিক মল
  •  আরএফএল জলের ট্যাঙ্ক
  •  আরএফএল প্লাস্টিক কন্টেইনার
  •  আরএফএল ওয়াটার ফিল্টার
  •  আরএফএল ওয়াটার পাম্প
  •  আরএফএল প্রেসার কুকার
  •  আরএফএল গ্যাসের চুলা
  •  আরএফএল নন-স্টিক কুকওয়্যার
  •  আরএফএল কিচেন নাইফ সেট
  •  আরএফএল রাইস কুকার
  •  আরএফএল ব্লেন্ডার
  •  আরএফএল মিক্সার গ্রাইন্ডার
  •  আরএফএল টোস্টার
  •  আরএফএল স্যান্ডউইচ মেকার
  •  আরএফএল ইলেকট্রিক কেটল
  •  আরএফএল ইন্ডাকশন কুকার
  •  আরএফএল ফ্যান
  •  আরএফএল এয়ার কুলার
  •  আরএফএল এয়ার পিউরিফায়ার
  •  আরএফএল রুম হিটার
  •  আরএফএল আয়রন
  •  আরএফএল ভ্যাকুয়াম ক্লিনার
  •  আরএফএল স্টিম আয়রন
  •  আরএফএল হেয়ার ড্রায়ার
  •  আরএফএল হেয়ার স্ট্রেইটনার
  •  আরএফএল হেয়ার কার্লার
  •  আরএফএল হেয়ার ট্রিমার
  •  আরএফএল বডি ম্যাসাজার
  •  আরএফএল বাথরুম স্কেল
  •  আরএফএল শেভিং রেজার
  •  আরএফএল শেভিং ফোম
  •  আরএফএল টুথব্রাশ
  •  আরএফএল টুথপেস্ট
  •  আরএফএল সাবান
  •  আরএফএল শ্যাম্পু
  •  আরএফএল বডি ওয়াশ
  •  আরএফএল হ্যান্ড স্যানিটাইজার
  •  আরএফএল হ্যান্ড ওয়াশ
  •  আরএফএল ডিটারজেন্ট পাউডার
  •  আরএফএল ডিশ ওয়াশিং লিকুইড
  •  আরএফএল গ্লাস ক্লিনার
  •  আরএফএল ফ্লোর ক্লিনার
  •  আরএফএল টয়লেট ক্লিনার
  •  আরএফএল মশার কয়েল
  •  আরএফএল মশারি
  •  আরএফএল ইনসেক্ট স্প্রে
  •  আরএফএল ইলেকট্রিক ইনসেক্ট কিলার
  •  আরএফএল এলইডি বাল্ব
  •  আরএফএল এনার্জি সেভিং ল্যাম্প
  •  আরএফএল সিলিং ফ্যান
  •  আরএফএল টেবিল ফ্যান
  •  আরএফএল এক্সজস্ট ফ্যান
  •  আরএফএল রিচার্জেবল ফ্যান
  •  আরএফএল সোলার প্যানেল
  •  আরএফএল সোলার চার্জ কন্ট্রোলার
  •  আরএফএল সোলার ব্যাটারি
  •  আরএফএল সোলার ইনভার্টার
  •  আরএফএল ইউপিএস
  •  আরএফএল ভোল্টেজ স্টেবিলাইজার
  •  আরএফএল এক্সটেনশন বোর্ড
  •  আরএফএল পাওয়ার স্ট্রিপ
  •  আরএফএল পাওয়ার ব্যাংক
  •  আরএফএল মোবাইল চার্জার
  •  আরএফএল ইউএসবি কেবল
  •  আরএফএল ব্লুটুথ স্পিকার
  •  আরএফএল ইয়ারফোন
  •  আরএফএল স্মার্ট ওয়াচ
  •  আরএফএল ফিটনেস ট্র্যাকার
  •  আরএফএল ল্যাপটপ ব্যাগ
  •  আরএফএল ব্যাকপ্যাক
  •  আরএফএল ট্রলি ব্যাগ
  •  আরএফএল ডাফেল ব্যাগ
  •  আরএফএল ব্রিফকেস
  •  আরএফএল ওয়ালেট
  •  আরএফএল বেল্ট
  •  আরএফএল সানগ্লাস
  •  আরএফএল ওয়াচ
  •  আরএফএল ব্রেসলেট
  •  আরএফএল নেকলেস
  •  আরএফএল কানের দুল
  •  আরএফএল রিং
  •  আরএফএল কৃত্রিম ফুল
  •  আরএফএল এলইডি টিভি
  •  আরএফএল ডিভিডি প্লেয়ার
  •  আরএফএল হোম থিয়েটার
  •  আরএফএল সাউন্ডবার
  • আরএফএল এক্সটার্নাল হার্ড ড্রাইভ
  •  আরএফএল ওয়্যারলেস হেডফোন
  •  আরএফএল ওয়্যারলেস স্পিকার
  •  আরএফএল ব্লুটুথ হেডসেট
  •  আরএফএল ওয়েবক্যাম
  •  আরএফএল ডেস্কটপ কম্পিউটার
  •  আরএফএল ল্যাপটপ
  •  আরএফএল মাউস
  •  আরএফএল কীবোর্ড
  •  আরএফএল ইউএসবি ফ্ল্যাশ ড্রাইভ

কাদিয়ানী পণ্য; প্রাণ এর পণ্যগুলো

  • প্রাণ লিচু পান
  • প্রাণ আমের জুস
  •  প্রাণ কমলার জুস
  •  প্রাণ আনারসের জুস
  •  প্রাণ আপেল জুস
  •  প্রাণ আঙুরের জুস
  •  প্রাণ লিচুর জুস
  •  প্রাণ লেবুর জুস
  •  প্রাণ ডালিমের জুস
  •  প্রাণ টমেটো কেচাপ
  •  প্রাণ মিক্সড ফ্রুট জাম
  •  প্রাণ স্ট্রবেরি জ্যাম
  •  প্রাণ কমলা মারমালেড
  •  প্রাণ আনারস জাম
  •  প্রাণ আম জাম
  •  প্রাণ টমেটো পেস্ট
  •  প্রাণ সরিষার তেল
  •  প্রাণ সয়াবিন তেল
  •  প্রাণ ভেজিটেবল অয়েল
  •  প্রাণ সূর্যমুখী তেল
  •  প্রাণ চানাচুর
  •  প্রাণ আলু চিপস
  •  প্রাণ Fryums
  •  প্রাণ ইনস্ট্যান্ট নুডলস
  •  প্রাণ ভার্মিসেলি
  •  প্রাণ ইনস্ট্যান্ট ড্রিঙ্কস
  •  প্রাণ বিস্কুট
  •  প্রাণ চকলেট
  •  প্রান ক্যান্ডি
  •  প্রাণ জেলি
  •  প্রাণ কেক
  •  প্রাণ রাস্ক
  •  প্রাণ রুটি
  •  প্রাণ বেকড বিন্স
  •  প্রাণ ফ্রাইড রাইস
  •  প্রাণ বিরিয়ানি
  •  প্রাণ চাটপাটি
  •  প্রাণ চিপস
  •  প্রাণ লাচ্ছা সেমাই
  •  প্রাণ খির মিক্স
  •  প্রাণ সুজি
  •  প্রাণ Puffed Rice
  •  প্রাণ আমের আচার
  •  প্রাণ চুনের আচার
  •  প্রাণ রসুনের আচার
  •  প্রাণ সবুজ মরিচের আচার
  •  প্রাণ মিশ্রিত আচার
  •  প্রাণ চিকেন কারি
  •  প্রাণ বিফ কারি
  •  প্রাণ মাছের তরকারি
  •  প্রাণ ডিমের তরকারি
  •  প্রাণ শাহী হালুয়া
  •  প্রাণ ফিরনি মিক্স
  •  প্রাণ ফালুদা মিক্স
  •  প্রাণ চকলেট দুধ
  •  প্রাণ মিল্ক পাউডার
  •  প্রাণ পনির
  •  প্রাণ ঘি
  •  প্রাণ মাখন
  •  প্রাণ কাস্টার্ড পাউডার
  •  প্রান কর্ন ফ্লেক্স
  •  প্রান রাইস ফ্লেক্স
  •  প্রাণ সিরিয়াল বার
  •  প্রাণ শক্তি বার
  •  প্রাণ ইনস্ট্যান্ট পাউডার ড্রিংক
  •  প্রাণ বিরিয়ানি মসলা
  •  প্রাণ মাংসের তরকারি মসলা
  •  প্রাণ মাছের তরকারি মসলা
  •  প্রাণ চিকেন মসলা
  •  প্রাণ কোরমা মসলা
  •  প্রাণ গরম মসলা
  •  প্রাণ চানা মসলা
  •  প্রাণ চ্যাট মসলা
  •  প্রাণ পানি পুরি মসলা
  •  প্রাণ সামোসা মসলা
  •  প্রাণ মাংস কারি পাউডার
  •  প্রাণ ফিশ কারি পাউডার
  •  প্রাণ চিকেন কারি পাউডার
  •  প্রাণ কাবাব মসলা
  •  প্রাণ সেখ কাবাব মসলা
  •  প্রাণ তন্দুরি মসলা
  •  প্রাণ পনির মসলা
  •  প্রাণ নিহারী মসলা
  •  প্রাণ হালিম মাসালা
  •  প্রাণ বিরিয়ানি রাইস
  •  প্রাণ পোলাও ভাত
  •  প্রান ব্রাউন রাইস
  •  প্রাণ সাদা চাল
  •  প্রাণ ময়দা
  •  প্রাণ সুজি
  •  প্রাণ আত্তা
  •  প্রাণ ময়দা
  •  প্রাণ সুজি হালুয়া মিক্স
  •  প্রাণ মিল্ক টোস্ট
  •  প্রাণ চকোলেট স্প্রেড
  •  প্রাণ পিনাট বাটার
  •  প্রাণ মধু
  •  প্রাণ জ্যাম রোল
  •  প্রাণ কেক রাস্ক
  •  প্রাণ লেমন ক্রিম ক্র্যাকার

কাদিয়ানীদের পণ্যগুলো সম্পর্কে কেন জানতে হবে 

আল্লাহ তাআলা জ্বীন ও মানব জাতিকে সৃজন করেছেন, যেন তারা ইহজীবনে স্বীয় প্রভুর পরিচয় লাভ করতে পারে ও স্রষ্টার সাথে সম্পর্ক স্থাপনার্থে স্বীয় জীবনে তাঁর নির্দেশাবলী যথার্থ বাস্তবায়ন করে খোদার সন্তুষ্টি লাভে ধন্য ও পর জীবনে সফলতা অর্জনে সক্ষম হতে পারে।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাঁর সৃষ্ট মানব-দানবের হিদায়াত ও সৃষ্ট জীবের মাঝে সম্পর্ক স্থাপনের নিমিত্তে এবং জীবন চলার দিক নির্দেশনার জন্য কোটি কোটি মানুষ থেকে নির্বাচিত করে পর্যায়ক্রমে এক লাখ বা দুই লাখ চব্বিশ হাজার বা তা থেকে কম-বেশী পয়গাম্বরগণকে এ ধরায় প্রেরণ করেছেন।

পৃথিবী যেমন ক্ষণস্থায়ী অনুরূপভাবে তার সকল কার্যপ্রণালীও ক্ষণস্থায়ী। পৃথিবীর প্রত্যেক কাজেরই একটা সুনির্ধারিত ইতি বা সমাপ্তি রয়েছে। সুতরাং নবী বা রাসূলগণের শুভাগমনেরও একটা সুনির্ধারিত ইতি বা সমাপ্তি থাকা স্বাভাবিক ৷ তাই বিশ্ব জগতের সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহ পাক শেষ নবীরূপে একজন মহা মানবকে প্রেরণ করেছেন, যাঁর অস্তিত্ব সকল সৃষ্টির পূর্বেও বিদ্যমান ছিল। পূর্বেকার আসমানী কিতাব সমূহেও তৎকালীন নবী- রাসূলগণ শেষ নবীরূপে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা (সাঃ) এর শুভাগমনের সুসংবাদ প্রদান করেছেন। এমনকি সকল প্রাণী, বস্তুজগতের জড় পদার্থ ও বৃক্ষলতাও তাঁকে শেষ নবীরূপে সাক্ষ্য দান ও সত্যায়ন করেছে। আল্লাহ পাক পবিত্র কুরআনের শতাধিক আয়াতে শুধু এ কথাই বর্ণনা করেছেন ।

আর এটাও সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন যে, বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা (সাঃ) এর পর কিয়ামত পর্যন্ত যেমনিভাবে কোন নবী বা রাসূলের আগমন ঘটবে না তেমনিভাবে পবিত্র কুরআনের পর আর কোন আসমানী কিতাবও অবতীর্ণ হবে না। সুতরাং (আমার হাবীব (সাঃ) এর উপর অবতীর্ণ পবিত্র কুরআনকে যদি কেউ হিফাজত নাও করে, তথাপি তার বিলুপ্তি ঘটবে না)। যেহেতু আমি স্বয়ং উক্ত কুরআনকে হিফাজত করব। কুরআনে বলা হয়েছে :

“নিশ্চয়ই পবিত্র কুরআনকে আমিই অবতীর্ণ করেছি, আর আমিই এর হিফাজতকারী।” 

অগণিত হাদীছও হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)এর পর নবুয়্যাতের দরজা বন্ধ হওয়ার সাক্ষ্য বহন করে। যেমন হুযুর (সাঃ) ইরশাদ করেন :

আমার অনেক নাম রয়েছে। তার মধ্যে একটি নাম “আকেব” 'আকেব' বলা হয়, যার পর আর কোন নবী নেই। অর্থাৎ আমিই সর্ব শেষ নবী, আমার পর আর কোন নবী আসবে না। (মুসলিম শরীফ পৃঃ ২৬১ খন্ড ২)

অন্যত্র এ বিষয়ের সমর্থনে বর্ণিত আছে যে,

অন্যান্য নবীদের সাথে আমার দৃষ্টান্ত হলো, একটি ঘরের ন্যায় যা খুব সুন্দর উঁচু ভবন। তার কারুকার্য ও সৌন্দর্য দেখে লোকেরা আশ্চার্যন্বিত হয়। কিন্তু উক্ত ঘরের একটি ইট পরিমাণ জায়গা খালি ছিল। লোকেরা বলে, এই জায়গাটি পূর্ণ করা হত! আল্লাহ তাআলা আমার মাধ্যমে উক্ত স্থানটি পূরণ করেন। আর ইটের বাস্তব আমি স্বয়ং এবং ঘরটি হলো নবুওয়্যাতের ঘর। তাই নবুওয়্যাতের ঘর পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। আর কোন জায়গা ফাঁকা নেই। (তিরমিজী, পৃঃ ২০১ খন্ড ২)

এরূপ অসংখ্য হাদীছ রয়েছে। এতদসত্ত্বেও অভিশপ্ত শয়তান, যে মানুষের শিরা উপশিরায় বিচরণ করে মানুষকে পথভ্রষ্ট করার লক্ষ্যে খোদার নিকট কসম করেছিল, তাই সে তার কিছু মানুষরূপী শিষ্যকে নবুওয়্যাতের মিথ্যা দাবীদাররূপে পেশ করেছে। যাদের সম্পর্কে সতর্ক থাকার জন্য হুযুর (সাঃ) ভবিষ্যৎবাণী করেছেন যেন তাঁর স্বীয় উম্মতরা সঠিক পথে দৃঢ় থাকতে সক্ষম হয়। তিনি ইরশাদ করেনঃ

আমার পর এরূপ ত্রিশজন দাজ্জাল ও কাজ্জাব বের হবে যারা মিথ্যা নবুওয়্যাতের দাবীদার হবে, অথচ আমিই শেষ নবী আমার পর কোন নবী আসবে না। (তিরমিজী- ৪০/২)

সকল সাহাবী, তাবেঈন, তাবে-তাবেঈন ও ছোট-বড় সকল ঈমানদারগণের আক্বীদা বিশ্বাস হলো যে, হুজুর (সাঃ) সর্বশেষ নবী। তারপর কিয়ামত পর্যন্ত আর কোন নবী আসবে না। যদি কেউ তার পরও নবুওয়্যাতের দাবী করে, তবে হুজুর (সাঃ) এর ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী সে মিথ্যাবাদী, ইসলাম হতে বহির্ভূত ও মৃত্যুদন্ডযোগ্য অপরাধী।

যেমনিভাবে মিথ্যা নবুওয়্যাতের দাবীদার আসওয়াদে আনাছীকে হযরাতে সাহাবায়ে কিরাম (রাঃ) এর ইঙ্গিতে হযরত ফিরোজ দাইলামী হত্যা করেন। হযরত ওয়াহ্শী (রাঃ) মুসায়লামাতুল কাজ্জাবকে হত্যা করেন। এমনিভাবে বিভিন্ন সময়ে বিশ্বের যে কোন স্থানে মিথ্যা নবুওয়্যাতের দাবীদার হিসেবে যে কেউ আত্মপ্রকাশ · করেছে, তৎক্ষণাত তৌহিদী জনতা তার প্রতিরোধ করে সমূলে ধ্বংস করেছে। ..বর্তমান সময়েও মিথ্যুক মুসায়লামাতুল কাজ্জাব এর উত্তরসূরী মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানীও মিথ্যা নবুওয়্যাতের দাবীদারদের অন্যতম। তার বিরুদ্ধে উম্মতে . মুহাম্মদীর কর্ণধার ও প্রতিনিধিবৃন্দ রুখে দাঁড়িয়েছেন। কিন্তু কালে কালে মানুষ যখন স্বীয় কু-রিপুর দাসত্বে আবদ্ধ হতে থাকে ও তাদের ধর্মীয় চেতনা ম্লান হয়ে যায় তখন সেই অভিশপ্ত শয়তানরাও নতুন নতুন রূপ ধারণ করে সরল প্রাণ মুসলামানদের ঈমান লুণ্ঠন করে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে। কিন্তু প্রত্যেক উম্মতে মুহাম্মদীর জন্য ফরয যে, স্বীয় ঈমানকে হিফাজত করা ও অন্যান্য মুসলিম ভাইদের ঈমানকে ও বাঁচানোর জন্য পূর্ণ সহযোগিতা করা ।

সে অনুযায়ী আমাদের উপর আবশ্যক যে, আমরা তাদের প্রতি সকল ধরনের সহযোগিতা যেমন কাদিয়নী পণ্য ইত্যাদি পরিহার করতে হবে।

আমাদের করণীয়

সাম্প্রতিক কালে যেরূপভাবে ইসলামের চির শত্রুরা নব-আবিস্কৃত পন্থায় মুসলমানদের প্রতিটি ঘর থেকে তাদের ঈমান তথা দ্বীন-ধর্মকে লুন্ঠন করার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে, এতে আমরা যদি উদাসীন হয়ে বসে থাকি, তাহলে কিয়ামতের ময়দানে আমরা কি জবাব দিব? 

তাই আমরা যদি আমাদের ঈমান-আক্বীদা ঠিক রাখতে চাই, এবং দ্বীনে মুহাম্মদীকে হিফাযত করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে চাই তাহলে অবশ্যই কাদিয়ানীদের সহযোগিতা পরিহার করতে হবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন